পঞ্চগড়ে বস্তা প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৪৫০টাকা

প্রকাশিত : জুন ৪, ২০২২ , ২:০৫ অপরাহ্ণ

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বোরো ধান কাটার মৌসুম ও মাড়াই চলছে। ধানের সরবরাহেও কোনো কমতি নেই। তারপরও গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রান্তিক এ জেলায় চালের দাম কেজি-প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। এদিকে চালের বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। শনিবার (৪ জুন) সকালে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের মধ্যে গুঠি স্বর্ণা সেদ্ধ ৫০ কেজি চালের বস্তা-প্রতি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়, স্বর্ণা পাইজাম সেদ্ধ চাল ৪৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, আটাইশ বস্তায় ২০০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকায়, উনত্রিশ চালে ২০০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, মিনিকেট বস্তায় ২০০ টাকা, কাঠারী আতপ বস্তায় ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকারি চালের বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও চালের দাম কেজি-প্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকায়। এতে করে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নিত্য পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বোরো ধান কাটা ও সংগ্রহের ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্তিতিকর হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। পঞ্চগড় শহরের চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রচুর মজুত থাকা সত্ত্বেও ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তা চালের দাম ২০০-৪০০ টাকা বাড়িয়েছেন মিলাররা। সব ধরনের চাল আগের চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে আমাদের। এজন্য আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি। তবে হঠাৎ বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ায় সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ করছেন ভোক্তারা। মোকামে চাল সংকট না থাকলেও দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানেননা চাল ব্যবসায়ীরা। পঞ্চগড় শহরে বাজার করতে আসা আনিছুর রহমান বলন, নিত্যপন্যের দামের সাথে এবার চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়ে গেছি। যেই মূল খাদ্য খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি সেই খাদ্য কিনতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। বাজার করতে আসা সোহেল রানা বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। আমাদের বাজার করতে যে অবস্থা তাতে ভাবছি আমাদের নিচে থাকা নিম্নবিত্ত পরিবার তাহলে কি করছে। বাজারে চাল, ডালসহ সব নিত্যপন্যের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। সরকার যদি এ বিষয়ে নজরে নিয়ে একটা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলো একটু বাঁচবে।
আব্দুল হামিদ বলেন, ভোগ্যপণ্যের এমন কোন জিনিস নাই যে দাম বাড়েনি। তবে শেষে চালের দামও বাড়ল কেজিতে ৫-৮ টাকা। এতে সংসার পরিচালনায় হিমসিম খাচ্ছি। সব শেষে এই চালের দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট। কারণ সিন্ডিকেট কারসাজি না করলে কোন পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় না। পঞ্চগড়ের তানিম অটো রাইস মিলের মালিক মোহাম্মদ জিন্নাহর বলেন, চালের দাম বাড়ার বিষয়টি জানা নেই। তবে গুঠি ধানের দাম বাড়ার ফলে চালের দাম বাড়তি। এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা কৃষি বিপণনের বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বলেন, হঠাৎ করে কিছুটা চালের দাম বাড়ার কারণ বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

[wps_visitor_counter]