সেচের অভাবে থমকে গেছে গোমস্তাপুরের বোরো আবাদ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১:১৬ পূর্বাহ্ণ

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা জনপদ বিভীষণের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এবছর বোর আবাদ করতে গিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন এখানকার কৃষকরা। তাদের জমিতে সেঁচের জন্য বসানো গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ। সেঁচের অভাবে পতিত পড়ে আছে ৫০-৬০ কৃষকের প্রায় ১০০-১৫০ বিঘা জমি। এ নিয়ে জমিতে কৃষকরা সম্প্রতি মানববন্ধনও করেন। বিভীষণ গ্রামের মজিবুর রহমান জানান, নওগাঁ জেলার সাদরুল আমিন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি জমি ছিলো ওই এলাকায়, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১১ সালে তার জমিতে সেঁচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করেছিলেন। এরপর তিনি তার অধিকাংশ জমিই বিক্রি করে দেন, সেই সাথে গভীর নলকুপটিও এব্রাহিম নামে একজনকে হস্তান্তর করেন। গভীর নলকূপটির চালক এব্রাহিম বলেন, সাদরুল চৌধুরী জমি বিক্রির পর ডিপটি আমাকে স্টাপ দিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কারেন্টের মিটার পরিবর্তন করা হয়নি। পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকজন এসে লাইন কেটে দেয়। তখন তারা বলেছে যে ডিপের (গভীর নলকুল) মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে, আগে জানাতে হত, এখন অফিসে যোগাযোগ করিও। এরপর অফিসে যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এদিকে পানি ব্যাগর ধান লাগাতে পারছে না সবাই। ওই এলাকার বাসিন্দা ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ বলেন, আমার কাছে ৪০-৬০ জন কৃষক এসেছিলো, পল্লী বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ায় জমিতে সেচ দিতে না পারার কথা বলতে। আমার প্রশ্ন যেখানে প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি মাটিও যাতে ফাঁকা পড়ে না থাকে সে দিকে খেয়াল করতে বলছেন, এমনকি তিনি বাসা বাড়ির ছাদেও ফসল করতে বলছেন, সেখানে শত শত বিঘা জমি পল্লী বিদ্যুৎ এর সিদ্ধান্তহীনতায় সেঁচের অভাবে পতিত আছে এটা দু:খজনক। তারা বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিতে পারত, কৃষকদের আবাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুই করেনি। কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে, পল্লী বিদ্যুৎ নাচোলের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুভন কুমার মহন্ত বলেন, সেখানকার গভীর নলকুলের বিদ্যমান বিদ্যুৎ সংযোগের মালিকানা জটিলতায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিলো, চলমান বোরো আবাদে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুতই বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃষকরা যাতে তাদের চাষাবাদ করতে পারেন, সেই লক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন।

[wps_visitor_counter]