ময়মনসিংহ অঞ্চলে সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ , ৭:৩২ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভোজ্য-তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কৃষিক্ষেত্রে সরিষা আবাদের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা। ময়মনসিংহ অঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে গত বছর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৬১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ৯৭ হাজার ১৮৬ হেক্টর। আবাদ-কৃত জমির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ দশমিক ৮১ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগের ১ লাখ ৫৬ হাজার কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য ১ কেজি করে সরিষা বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলায় ৪৭ হাজার ৪০০ জন, জামালপুরে ৫৪ হাজার ৬০০ জন, নেত্রকোনায় ২৫ হাজার ২০০ জন এবং শেরপুর জেলায় ২৮ হাজার ৮০০ জন কৃষকের মধ্যে এসব প্রণোদনা দেওয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালমা আক্তার বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও ভোজ্য-তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কৃষিক্ষেত্রে সরিষা আবাদে ব্যাপক জোর দিয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে ৪০ শতাংশ তেল আমদানি নির্ভরতা কমানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, যেসমস্ত জমি অনাবাদী আছে সেসমস্ত জমিতে সরিষা আবাদ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মানুষ এখন সয়াবিন তেল ছেড়ে সরিষা তেলের দিকে ঝুঁকছে। এ কারণে সরিষা তেলের চাহিদাও বেড়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকেরা আমন ধান কাটার পর প্রতি বিঘা জমিতে এক থেকে দুই কেজি সরিষা ছিটিয়ে দেন। বাড়তি পরিশ্রম ছাড়াই কৃষক ৬০ থেকে ৭০ দিনে এ সরিষা সংগ্রহ করতে পারেন। ভালো বীজ হলে এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৫ মণ সরিষার ফলন হয়। সরিষা সংগ্রহ শেষে ওই জমিতেই কৃষকেরা বোরো চাষ করে থাকেন। ফলে কৃষকেরা জমিতে দুই ফসলি থেকে তিন ফসলি কৃষিকাজ করছে ও লাভবান হচ্ছে। এবার স্থানীয় জাত ছাড়াও বিনা ও বারি জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়।

[wps_visitor_counter]