সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে

প্রকাশিত : মার্চ ১, ২০২৪ , ১১:৩১ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভাওয়াইয়া গানের অন্যতম ছন্দ হাকাও গাড়ি এবং গাড়িয়াল ভাই। আগামী প্রজন্ম এসব গাড়ি বা গাড়িয়াল ভাইকে চিনতে পারবে না। ভাওয়াইয়া গানের বৃহৎ অংশ কুড়িগ্রাম অঞ্চলের হলেও বর্তমানে কুড়িগ্রামের ঐতিহ্য প্রকৃতি, নদী-নালা সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। পৃথিবীর সাথে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে গেছে। এখানকার বড় বড় নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে প্রেম আসছে না, ভাব আসছে না। ভাওয়াইয়া গানকে ধরে রাখতে হবে। এটা আমাদের সংস্কৃতির একটি পরিচয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি বান্ধব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়ায় না আসলে লালন সম্পর্কে জানতে পারতেন না। এতটা সমৃদ্ধ হতে পারতেন না-এটা রবীন্দ্রনাথের নিজের কথা। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় ইস্কাটনস্থ সুইড বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘ভাওয়াইয়া সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিষদ’ আয়োজিত “ভালবাসি ভাওয়াইয়া গান” শীর্ষক সঙ্গীত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ভাওয়াইয়া গানের অন্যতম প্রাণপুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী বাবু রথীন্দ্রনাথ রায়কে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। সুইড বাংলাদেশ এর মেন্টর জওয়াহেরুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ কফিলউদ্দিন, ভাওয়াইয়া সংরক্ষণ ও গবেষণা পরিষদ এর সভাপতি এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক বকুল চন্দ্র মহন্ত এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এজানুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানব কাঠামোর উন্নয়নের জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা খুবই জরুরি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার একটি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া-বান্ধব পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় শিল্পকলা একাডেমি করেছে। উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমীর অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে।

[wps_visitor_counter]