প্রশিক্ষণ প্রদানে মালয়েশিয়ার সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে

প্রকাশিত : মে ২৬, ২০২৪ , ৯:০৫ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে। রবিবার (২৬ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোঃ হাশিম সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের কর্মীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। জনশক্তি রপ্তানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত ১৫ বছরে দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও আমাদের যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অসীম। পর্যটনের এই অফুরন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প সম্পর্কিত ব্যবসায় অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে। তারা চাইলে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। সরকার পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করার বিষয়টিও আমি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দুই দেশের যৌথভাবে কাজ করতে পারাটা হবে আনন্দের। এছাড়াও মালয়েশিয়া ইতোমধ্যেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তি প্রদান করে থাকে, যার মধ্যে পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ে বৃত্তি যেন আরও বৃদ্ধি করা হয় সে বিষয়ে আমি চেষ্টা করবো। হাইকমিশনার আরও বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো শ্রমবাজার। আমরা আশা করব বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত কর্মী মালয়েশিয়া গমন করবেন তারা যথাযথ ভিসা নিয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সেখানে যাবেন এবং আইনগত-ভাবে অবস্থান করবেন। কর্মীদের দক্ষতা এবং সুনাম যত বাড়বে তত বেশি এই শ্রমবাজারের ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ।

[wps_visitor_counter]