বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে তিন দেশের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪ , ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)’র সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূত Rinchen Kuentsyl সাক্ষাৎ করেন।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)’র সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূত Rinchen Kuentsyl, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Park Young-sik, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Makawadee Sumitmor সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে ভুটান, কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডের প্রতিনিধির সাথে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, ভুটানের সাথে বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে যা আগামীতে দীর্ঘতর হবে। ভুটান থেকে বাংলাদেশ ফলমূল, গ্রানাইটসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ নিয়মিত রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকাতে আরো পণ্য যোগ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)’র সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Park Young-sik সাক্ষাৎ করেন।

ভুটানের রাষ্ট্রদূত Rinchen Kuentsyl বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ভুটানের জন্য বাংলাদেশ অনেক অবদান রেখেছে। ভুটানের অধিকাংশ চিকিৎসক বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি লাভ করেছে। ভুটানে বাংলাদেশের ওয়ালটন, প্রাণ, হাতিল-এর পণ্যের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঔষধের কাঁচামাল ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবেশ উপযোগী বৈদ্যুতিক গাড়িরও চাহিদা রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ কোরিয়া থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধা কামনা করে। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Park Young-sik জানান, দু’দেশের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ধরে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। আশা করি, আসন্ন ডব্লিউটিও সম্মেলনে দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে পৃথক আলোচনা হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)’র সাথে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Makawadee Sumitmor সাক্ষাৎ করেন।

এরপর, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত Makawadee Sumitmor জানান, বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের মধ্যে আরো সমঝোতা-চুক্তির প্রয়োজন আছে। এর ফলে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ দূর করা যাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ড ‘ইউএনএসকাপ’ আয়োজনে পেলে আরো সম্পূরক আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

[wps_visitor_counter]