কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের এসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারির সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ৩:৩১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম, সংগৃহীত চিত্র।

কাতার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) কাতারে সেদেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানির সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতারের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন ৭ম জয়েন্ট কমিটি মিটিং ও দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত কাতারের আমীরের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রমসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে এসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতন ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক লেবার মিনিস্ট্রিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। কোনো শ্রমিক তার বেতন না পেলে দেরি না করে এক মাসের মধ্যেই অভিযোগ দায়ের ও দূতাবাসকে অবহিত করার করার পরামর্শ দেন। কারণ, ৩ বা ৪ মাস ধরে কোনো কোম্পানি বেতন না দিলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ২ বা ৩ মাসের অধিক সময়ে বেতন না পেলে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রদূত কাতারের বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ করার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি বলেন, কাতার শ্রম বাজার ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। তাই দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শ্রমিক আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং বলেন, অদূর ভবিষ্যতে কাতার আর কোনো অদক্ষ শ্রমিক আনবে না। শ্রম মন্ত্রণালয়ে কেস চলাকালীন সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূত তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া বলেন, ইতোমধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনলাইন লিংক করা হয়েছে, যাতে কোনো শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট করা না হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও তন্ময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]