মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ , ২:২৮ পূর্বাহ্ণ

কায়রো, মিশর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন করেছে। এদিন প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি সূচিত হয়। রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন। এরপর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। প্রারম্ভে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তীতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ শুরুতেই সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সকল ভাষা শহিদদের। যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার। রাষ্ট্রদূত আরো উল্লেখ করেন যে, একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার সংগ্রাম নয়, একইসাথে আত্মসচেতনতা সমৃদ্ধ জাতীয় জাগরণের অনুপ্রেরণার উৎস। জাতিসত্তা বিকাশে যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন সূচিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীক। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, এ বছর বাংলাদেশ দূতাবাস, কায়রো আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মিশরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথ প্রয়াসে মিশরের বিখ্যাত কায়রো অপেরা হাউজে ‘সাংস্কৃতিক সম্পর্ক’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পর্যটন প্রভৃতির ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি হস্তশিল্প ও রপ্তানি-পণ্যসমূহ যথা- নকশি কাঁথা, জামদানি, সিরামিক সামগ্রী প্রদর্শন করা হবে।

[wps_visitor_counter]