ভাষাশহিদ স্মরণে জিপনের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার নির্দেশ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪ , ১০:৩২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মহান ভাষাশহিদ স্মরণে বিটিসিএল এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপন এর জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি ও তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় ভাষাশহিদ স্মরণে বিশেষ জিপন প্যাকেজ বাস্তবায়নের এ নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় ইনডেক্সে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে নাম্বার ওয়ান হিসেবে দেখতে চাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে আমাদের ইনডেক্সের উপরে থাকতে হবে। জাতীয় বাস্তবায়ন অগ্রগতি থেকে কোন অবস্থাতেই নীচে থাকা যাবে না। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবছরকে চারটি ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথম তিন মাস পর যে প্রকল্পে যত খরচ করতে পারবে সে অনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসের বরাদ্দ। তিনি বলেন, আমি ভালো কাজের ভালো ফল দেখতে চাই। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে কোন কাজেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। নাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চারটি মূল পিলার হচ্ছে যথাক্রমে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই চারটি পিলার শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আগামী ৫ বছরে মন্ত্রণালয় কী করবে তিনটি ধাপে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক এবং টেশিস সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় টেলিযোগাযোগ বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগণ নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়া চলমান প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্পসমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় ডাক, ও টেলিযোগাযোগ সচিব জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

[wps_visitor_counter]