ডেটা বিক্রি ও প্রসেস রোধে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪ , ৮:৩০ অপরাহ্ণ

যশোর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, অজান্তে আমাদের ডেটা বিক্রি ও প্রসেস করে কেউ যেন ব্যবস্যা করতে না পারে সেজন্য ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদির তথ্য যেন কারো সম্মতি ছাড়া দেশের বাইরে, ব্যবসায়িক কাজে অথবা সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত না হয় সেজন্য দেশের তথ্য দেশে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) যশোরে অ্যাকজেনটেক পিএলসি কর্তৃক আয়োজিত ‘টায়ার-৪ ডেটা সেন্টার সাইফার’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সৃজনশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন আজ মানুষের জীবনমান ও অর্থনীতিকে গতিশীল করে দিয়েছে। সরকারি অধিকাংশ সেবা এখন একটা পোর্টালে পাওয়া যাওয়ায় খুব সহজেই সেবাগুলো পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহারে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও অর্থনীতিসহ সর্বত্রই এখন ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এসকল ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারির ওয়েব, সফটওয়্যার বা ডিজিটাল মাধ্যমে সকল সেবা প্রদানের মূল সম্পদ হচ্ছে ডেটা। সেজন্য বলা হয়ে থাকে, ‘Data is the next currency’। জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং প্রতিমুহূর্তে মূল্যবান ডেটা সরবরাহ করা হচ্ছে। যদি এই ডেটার নিরাপত্তা, মজুদ, লোকালাইজেশন ও প্রসেস করতে পারা যায়, তাহলে ডেটা ড্রিভেন ও ডিসিশন মেকিং স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হবে এবং বেসরকারি-খাতে ব্যবসার আরো অনেক সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি দেশের ও নাগরিকদের ডেটা অনুমতি ব্যতীত আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না এবং সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি আরো বলেন, আগামীর উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের ব্রেইন হবে আমাদের অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টারগুলো। ডেটা-সেন্টারে স্টোর হবে এবং সেই ডেটা অ্যানালাইসিস ও প্রসেস করে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগ সৃষ্টি হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাকজেনটেক পিএলসি’র এমডি ও সিইও আদিল হোসেন নোবেল, অ্যাকজেনটেক বোর্ড চেয়ারম্যান রাজীব শেঠি এবং পরিচালক সাহেদ আলম।

[wps_visitor_counter]