নোয়াখালী মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ৬, ২০২২ , ১১:২৫ অপরাহ্ণ

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ১৯৭১সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশিয় দোসর রাজাকারদের হাত থেকে নোয়াখালী মুক্ত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাক হানাদার বাহিনীর দোসরদের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল তারিখে কুমিল্লা সেনা নিবাস থেকে একদল পাকিস্তানী সেনা বাহিনী ট্রেন যোগে সোনাইমুড়ী রেল ষ্টেশনে নেমে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী পাকা সড়ক দিয়ে এক গ্রুপ এবং রেল লাইন দিয়ে অন্য গ্রুপ আসার সময় দুই পার্শ্বের বিভিন্ন বাড়ী ঘর অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, নারী নির্যাতন শুরু করে এবং মাইজদী পিটিআই ও চৌমুহনী চৌরাস্তায় অবস্থিত সরকারী কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। পর দিন চৌমুহনী রেল ষ্টেশন চত্বরে এক সমাবেশে আমান কমিটি গঠন করে। এর পর থেকে তারা ক্যাম্পে এনে নারী-পুরুষদেরকে নানা ভাবে অত্যাচার করতে থাকে। এরপর পাকিস্তানী সেনা বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের সাথে সোনাপুর, মাইজদী, বেগমগঞ্জের, কেন্দুরবাগ, বাংলাবাজার, ফেনা ঘাটা ব্রিজ, নাইমুড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা ফেনা ঘাটা ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। এতে পাকিস্তানী সেনা বাহিনী পশ্চিমে লক্ষ্মীপুরের দিকে এগুতে না পেরে মুক্তিকামী জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা ব্যারিকেড দিলে আত্ম-রক্ষার্থে ক্যাম্পে এসে কুমিল্লা সেনা-নিবাসে ফেরত যেতে বাধ্য হয় এবং ৭ ডিসেম্বর পুরো নোয়াখালী। পাক সেনাবাহিনী ও এদেশীয় তাদের দোসর রাজাকার আলবদর চক্র বেগমগঞ্জ কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণহত্যা, নারী ধর্ষণের পর হত্যা করে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার উত্তরে কালা পোলে গোড়ায় খালে শত শত লাশ ভাসিয়ে দেয়। তাই বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাদুঘর-৭১’ এবং কালা পোল বধ্যভূমি স্মৃতি নতুন প্রজন্ম লালন করবে বলে মানুষ মনে করে। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা। আয়োজন করা হয় র‌্যালী ও আলোচনা সভার।

[wps_visitor_counter]