তেঁতুলিয়ায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ , ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

ডিজার হোসেন বাদশা, নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সবুরা খাতুন (৪৫) নামে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত সবুরা তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভূতিপুকুর এলাকার কাশিম উদ্দিন ওরফে হুলুর স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ২২ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দেবনগর ইউনিয়নের কামাতপাড়া এলাকার ফজলে করিমের মেয়ে সবুরা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ভজনপুর ইউনিয়নের ভূতিপুকর এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে কাশিম উদ্দিন হুলু। বর্তমানে তাদের সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলতো। কয়েকবার শালিসও হয়েছে। রবিবার ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার আবদার করায় তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাশিম তাকে মারধর করে। রাগে ক্ষোভে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সবুরা। পরে তাকে আবারো মারধর করার সময় তার অবস্থার অবনতি হলে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সবুরার ভাই খাদেমুল ইসলাম বলেন, কাশিম অকারণে আমার বোনকে মারধর করতো। সেদিন আমার বাড়িতে আসতে চাওয়ায় তাকে প্রচণ্ড মারপিট করে। রাগে ক্ষোভে আমার বোন আত্মহত্যার জন্য বিষ পান করে। এই অবস্থাতেও তাকে আবারো মারধর করা হয়। পরে আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার বোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তারা লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে কাশিম উদ্দিন বলেন, ভাইয়ের বাড়িতে যেতে নিষেধ করায় সে নিজেই বিষপান করেছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোলেমান আলী। পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফজলুল করিম বলেন, সুরতহালে ওই নারীর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে বিষপানেই তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

[wps_visitor_counter]