প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলে দুষ্কৃতিকারীদের বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ , ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

ডিজার হোসেন বাদশা, নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পঞ্চগড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী খাবার পানির টিউবওয়েলে দুষ্কৃতিকারীদের বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটার পর থেকে শিক্ষার্থীসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই টিউবওয়েলটি বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে থাকা শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার পানির টিউবওয়েলে দুষ্কৃতিকারীরা ফসলে ব্যবহৃত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। রবিবার দুপুরে ওই টিউবওয়েলে পানি খেতে গিয়ে আনন্দ নামে এক চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী পানিতে বিষাক্ত দুর্গন্ধ পেয়ে শিক্ষকদের অবগত করলে টিউবওয়েলটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়। বিষয়টি বিদ্যালয়সহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা যায়। এদিকে এ ঘটনায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বিদ্যালয়টিতে আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ করা গেছে। অভিভাবকসহ স্থানীয়রা বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি ন্যাকারজনক। আমাদের এই শিশু শিক্ষার্থীরা কি দোষ করেছে। যদি এই পানি খেয়ে আমাদের কোন শিশু শিক্ষার্থী মারা যেতো তা হলে কি একটা অবস্থা তৈরি হোতো ভেবে ভয় লাগছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের কঠোর বিচার দাবি করছি। মৌমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোশন আক্তার জানান, সব শিক্ষার্থী ভয়ে আছে, সাথে অভিভাবকরা। না জানি কে কখন কোন বিপদে পড়ে যায়। তবে আমরা অনেকদিন যাবত লক্ষ করছি রাতে বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান নেয় মাদক সেবনকারীরা। তারা দীর্ঘসময় সময় অতিবাহিত করেন, মূলত তারাই এই ঘটনাটি ঘটাতে পারে। আমরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে পুলিশ প্রশাসন বিদ্যালয়ে এসে টিউবওয়েলটি বন্ধ রেখেছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম জানান, এ ঘটনায় কিছু আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবং পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। এদিকে বিষয়টি তদন্তে ঘটনার দিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির দায়ের করা প্রতিবেদনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

[wps_visitor_counter]