নারী নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : জুলাই ২৪, ২০২২ , ১০:১১ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নারী নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নির্যাতন ও সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনার বিষয়ে সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাদক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেনও আপনাদের হৃদয় মনকে আচ্ছন্ন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সাম্প্রদায়িকতা আমাদের জীবনকে প্রায়শই কলুষিত করে, আমাদের ব্যথিত ও পীড়িত করে, আমাদের গৌরবকে কালিমা লিপ্ত করে। আমরা সাম্প্রদায়িকতাকে দূর করে দিতে চাই। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, লাখ লাখ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই রাষ্ট্রটিকে আবার সাম্প্রদায়িকতা যেন ফনা তুলতে না পারে আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমরা যেনও বৈষম্য না করি, বৈষম্য যেন দূর করতে পারি। নারী নির্যাতনকারীদের যে পরিচয়ই থাকুক না কেনো তাকে বিচারের আওতায় অবশ্য অবশ্যই আনা হবে। সাম্প্রদায়িকতা যেমন পরিত্যাজ্য, সাম্প্রদায়িকতাকে যেমন প্রতিহত করতে হবে, তেমনি নারী নির্যাতনকেও দূর করতে হবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নারী নির্যাতন বা সাম্প্রদায়িকতার মতো অপরাধের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা সেটি শেখ হাসিনার সরকার হতে দেবে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামনে একটি নির্বাচন আছে তাই তার আগেই ধর্মের ধুয়া তুলে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এখন যেভাবে বিন্যস্ত আছে তাতে নতুন করে ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখন মডিউলার এডুকেশনের সময় যাচ্ছে। পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতায় গড়ে তুলতে হবে। মডিউলার এডুকেশনের সঙ্গে সঙ্গে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কাজের জায়গা থেকে নিজেকে আপস্কিল করবেন, রিস্কিল করবেন। এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে উচ্চশিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র, তাই সেখানে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

[wps_visitor_counter]