সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে : বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ৯:০০ অপরাহ্ণ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সংগৃহীত চিত্র।

সাতক্ষীরা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ অবস্থায়, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব। রবিবার সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গায় সরিষার মাঠ পরিদর্শন ও সরিষা চাষিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন। অন্যদিকে, আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একইসঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। সরিষা চাষিরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। পরে কৃষিমন্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা এএমআর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। কাজেই, বিএনপি জামায়াত যুগপৎভাবে যত আন্দোলনই করুক না কেন, তা কোন কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগের মতো সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও জনসম্পৃক্ত দলকে তারা আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর স্বাধীনতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। এর ওপর সরকারের কোন প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপির খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তারেক রহমান দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে আছে। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাজেই, বিএনপি দুদককে বিএনপি দমন কমিশন বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও এসএম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নরীম আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

[wps_visitor_counter]