জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে এসপিএম প্রকল্প অবদান রাখবে

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ৮:১৮ অপরাহ্ণ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

মহেশখালী, কক্সবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্পটি কার্যকরী অবদান রাখবে। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি- টু -জি ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং পাইপলাইন দিয়ে স্বল্প সময়ে, সাশ্রয়ী খরচে ও নিরাপদে জ্বালানি তেল (ক্রুড ওয়েল ও ফিনিসড প্রোডাক্ট) পরিবহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে ‘ইন্সটলেশন অভ্‌ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে যুগান্তকারী মেগাপ্রকল্প এসপিএম বা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এ বছরের মাঝামাঝি থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এতদিন আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজ হয়ে রিফাইনারি ট্যাংকে পৌঁছাতে সময় লাগত ১১-১২ দিন। এসপিএম চালু হলে সমপরিমাণ তেল পরিবহণে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। এতে বছরে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকা; সেই সাথে কমবে সিস্টেম লস। এ সময় তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইনের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ৬টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, যা বাংলাদেশের তেল মজুদ সক্ষমতাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। উল্লেখ্য এসপিএম প্রকল্পটি নভেম্বর ২০১৫ সালে গ্রহণ করা হয় এবং জুন ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শরিফ হাসনাত উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]