ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত : মার্চ ৪, ২০২৪ , ১১:১৫ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা, ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলাপ্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ। সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান ‘জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’-এ কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সেশনে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল পতিত জমিকে আবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল, রেলপথ এর পতিত জমি চাষের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো অনাবাদি জমি খালি রাখা হবে না। পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার ন্যূনতম পরিমাণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর কৃষি জমি যাতে অধিগ্রহণ না করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া তিন ফসলি জমি কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। মজুতদারি রোধে মনিটরিং জোরদারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য অবৈধভাবে মজুত করে অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রমজানসহ সারাবছর যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জেলাপ্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে তৎপর থাকতে হবে। এ বিষয় জেলাপ্রশাসকগণ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। কৃষি উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩৯১ দশমিক শূন্য ২ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ১১ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন গম, ৬৪ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা, ১১০ দশমিক ৮৫ লাখ মেট্রিক টন আলু ও ২২৫ দশমিক ৪১ লাখ মেট্রিক টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৬৩ লাখ মেট্রিক টন ও পেঁয়াজ ৩৪ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে বা অঙ্কুরোদগম না হলে, দায়ী ব্যক্তিদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে।

[wps_visitor_counter]