বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই হত্যা করা হয়

প্রকাশিত : মার্চ ১২, ২০২৩ , ১১:৫০ অপরাহ্ণ

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজে যখন হাত দিয়েছিলেন এবং দেশের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছিলেন তিনি, তখনই ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তার পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন, উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, কিন্তু ঘাতকের স্বপ্নপূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। মন্ত্রী রবিবার ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭মার্চ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপির সুষ্ঠু নির্বাচন দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র ডিকশনারিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সংজ্ঞা হচ্ছে যে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। বিএনপি’র মতে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসলে সে নির্বাচন আর সুষ্ঠু হয় না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পরিকল্পনা থেকে বিচারপতি কে এম হাসানের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে সেনা শাসনের পথ সুগম করার জন্য বিএনপিই দায়ী। তিনি বলেন, তখন আওয়ামী লীগের কোন আহ্বানে বিএনপি সাড়া দেয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরোয়া তারা তখন করেনি। মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন অথচ সেই মহান নেতার ভাষণই একসময় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিএনপি জামাতের এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস প্রসঙ্গে বলেন, আদালতের রায়কে সম্মান না দেখিয়ে বিশ্ব নেতাদের দিয়ে চিঠি ইস্যু করে তিনি নিজের সম্মানহানিই করেছেন।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী।

[wps_visitor_counter]