নদী ভাঙন রোধে ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে সরকার

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশের নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার। দেশের ২২টি জেলায় ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ ৫৪টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় যেহেতু স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আর এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে। রবিবার শরীয়তপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন-কালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনও সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলস-ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে সারাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে উন্নয়নের মডেলে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য মর্যাদা পেয়েছে। তার আমলেই পদ্মা-সেতু হয়েছে। শরীয়তপুরে এখন আর নদীভাঙন নেই। বিদ্যুতেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মার তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছেন। তাই ফোরলেনের জন্য জনগণকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এ ফোর লেন আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। মাদারীপুরের মতো ২০০৯ সালে শুরু করলে এ ফোরলেনের কাজ আরও আগেই শেষ হয়ে যেতো। তবে আমরা (উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি ও নাহিম রাজ্জাক এমপি) ২০১৯ সালেই শরীয়তপুরে যাতে ফোর লেন হয় সে লক্ষে কাজ করেছি। এ সরকারের মেয়াদেই ফোর লেনের কাজ সম্পন্ন হবে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। উপমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরের নড়িয়ার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকার মানুষকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। শরীয়তপুর জেলায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ৪ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। শরীয়তপুর জেলাসহ সারা দেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর কোনও ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। কাজের ব্যাপারে কোনও রকম গাফিলতি ও অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণকেও এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে। শরীয়তপুরে ফোর-লেন রাস্তা হচ্ছে, শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। মেঘনা সেতু নির্মাণের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। শরীয়তপুর জেলা সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। শরীয়তপুরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। পরে শরীয়তপুরে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধু টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র প্রমুখ।

[wps_visitor_counter]