হাওড় এলাকায় ১৯ টি নদী খননের প্রকল্প নেওয়া হবে

প্রকাশিত : মার্চ ১৫, ২০২৩ , ৯:৫২ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, হাওড়ের ফসল রক্ষায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এর স্বতন্ত্রতা ও জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব না। আগে বাঁধ কাজের জন্য উপযোগী হতে হবে। অধিকাংশ হাওরে পানি নামতে অনেক দেরি হয়। বুধবার প্রতিমন্ত্রী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওড়ের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওড়ে স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প ব্যয়বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বিগত তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। মন্দার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওড়ের কাজ থেমে নেই, চলছে। শীঘ্রই হাড়র এলাকার ১৯টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ৬শ’ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, হাওড়ের বাঁধ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে করা সম্ভব নয়, প্রাকৃতিক কারণেই এটা সম্ভব হয় না। পানি নামার পর জায়গাটা কাজের উপযোগী হলে তবেই কাজ শুরু করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, আমরা বাঁধের কাজ আন্তরিকভাবে করে যাচ্ছি যাতে কৃষক তার ফসল নিরাপদে ঘরে তুলতে পারে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার এবং সামসুদ্দোহা। প্রতিমন্ত্রী দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওড়, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধও পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছর ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি হাওড়ে ৭৪৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ তৈরির জন্য আজ পর্যন্ত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। এই বছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন জেলার ৪ লক্ষাধিক কৃষক।

[wps_visitor_counter]