সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত : মে ২৩, ২০২৩ , ৮:১৪ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবরণের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দলের প্রতিটি দুঃসময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে একজন প্রথম সারির কর্মী এবং সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মকবুল হোসেন ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। নানা নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে সেই আদর্শ ধারণ করেই সারা জীবন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময় ধানমণ্ডি- মোহাম্মদপুর এলাকা ছিল সন্ত্রাস-মাদকের স্বর্গরাজ্য। সেই এলাকার সংসদীয় আসন ঢাকা-৯ থেকে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর গড়ে তুলেছিলেন। এলাকার সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখে সব সময় মকবুল হোসেন তাদের পাশে থেকেছেন। তাছাড়া তিনি মসজিদ, বাজার, রাস্তাঘাট নির্মাণ, এবং পানি ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। একজন ধর্মভীরু মানুষ হিসেবে এবং ইসলামী চিন্তা-চেতনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এই জননেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশ এবং সমাজের কল্যাণে আমৃত্যু নিবেদিতপ্রাণ আলহাজ্ব মকবুল হোসেন-এর অবদান চিরঅম্লান থাকবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রয়াত এই কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তাঁর সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এই প্রার্থনা করি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমি মরহুম আলহাজ্ব মকবুল হোসেন-এর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হোন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

[wps_visitor_counter]