ব্রাসিলিয়াতে উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন

প্রকাশিত : মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১১:১৭ অপরাহ্ণ

ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন- প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৭ই মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের সামরিক এটাশেসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার পাশাপাশি ১৫ আগষ্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় ১৯৭৪ সালেই আইন প্রণয়ন করেছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্রারম্ভে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এবং বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু কিশোরদের অংকিত ছবি এবং দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে দূতাবাস পরিবারের শিশুরা ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুরা কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রদূত সমবেত শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং উপস্থিত শিশুদের মাঝে সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

[wps_visitor_counter]