ইস্তাম্বুলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

প্রকাশিত : মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ

ইস্তাম্বুল, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল রবিবার যথাযথ মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩’ উদযাপন করেছে। কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ নূরে-আলম কর্তৃক কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর, কনসাল জেনারেলের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। কনস্যুলেটের ‘কনফারেন্স হল’-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মোৎসর্গ ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি আমাদের মহান স্বাধীনতা। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্বাধীনতার এই ৫২ বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রায় সকল সূচকে বাংলাদেশ আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে, কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের সফলতার গল্প আজ বিশ্বব্যাপী প্রচারিত ও প্রশংসিত। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, যা অনেক দেশের কাছে উন্নয়নের রোল-মডেল ও প্রেরণার উৎস। সরকারের সময়োপযোগী নীতি-পরিকল্পনা ও জনবান্ধব উদ্যোগ এবং জনগণের প্রচেষ্টা, দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী শক্তির কারণে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে, তিনি মন্তব্য করেন। কনসাল জেনারেল ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান। জাতির পিতা ও সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।

[wps_visitor_counter]