দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুমের অভিযাত্রা শুরু

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৯, ২০২২ , ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুম উপকরণ, ডিজিটাল কন্টেন্টসহ ট্যাবলেট এবং পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তরের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ‘সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করে তা ধারণ করতে না পারলে শিক্ষার মূল্য থাকে না। মন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী দুর্গম অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির চেয়ে ভালো কাজ হতে পারে না উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর হলো একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল ডিভাইসে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ প্রদানের ফলপ্রসূ অবদান তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, শিশুরা ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে। মন্ত্রী মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় এই প্রকল্পের অধীন পরিচালিত কয়েকটি বিদ্যালয়ের ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীরা অনেকে টিসি নিয়ে এই সকল স্কুলে চলে আসছে। যে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া আছে সে প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট দেওয়ার দাবি উঠেছে। তিনি বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট হচ্ছে ডিজিটাল যন্ত্রে পাঠদানের জন্য প্রচলিত পাঠ্যসূচির মানসম্মত ইন্টার এক্টিভিটি, ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেসন, টেক্সট ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট দিয়ে প্রোগ্রামিং করা সফটওয়্যার দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষার প্রবর্তন করা। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শত ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। পরে বিজয় ডিজিটাল’র সিইও জেসমিন জুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল কন্টেন্ট ও ল্যাপটপ বিতরণ করেন। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যন শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেসমিন জুই সিইও বিজয় ডিজিটাল অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ এবং প্রকল্প পরিচালক আবদুল ওয়াহাব বক্তৃতা করেন।

[wps_visitor_counter]